ঢাকা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ৮:৫১ pm

আসিফ ও তার ডিসকাশন প্রজেক্ট: শীতলক্ষ্যার জল জানে সে পরিচয়

| ২৭ ফাল্গুন ১৪২১ | Wednesday, March 11, 2015

asifsandwipchannel-2.jpgদিন কয়েক আগের ঘটনা। স্থান চট্টগ্রামের মুসলিম হল। আসিফ সেখানে গেছেন বতৃতা দিতে। টিকিটের জন্য লাইন পড়ে গেছে। সে সময় ঘটনাস্থলে এক ভদ্রলোক এলেন। বেচারা ভেবেছেন সেখানে বুঝি কোনো থিয়েটার হবে। লোকের ভীড় তাকে এই ভাবতে প্ররোচিত করেছিল। টিকেট কাটার জন্য লাইনে দাঁড়ালেন। একদম শেষপ্রান্তে পাশের জনকে জিজ্ঞেস করলেন কী নাটক হবে ভাই? বয়সে তরুণ পাশের জন। মুচকি হেসে ভদ্রলোককে বলেন, ভাই নাটক হবে না। বিজ্ঞান বক্তৃতা হবে। ভদ্রলোক যেন আকাশ থেকে পড়লেন। অবাক হয়ে তার মন-ব্য বিজ্ঞানের বক্তৃতা শুনতে এতো লোক লাইনে দাঁড়িয়ে। ওহ গড এ তো অসাধারণ। আর এই অসাধারণ কান্ডটির জন্মদাতা আসিফ। দর্শনীর বিনিময়ে বক্তৃতা দিয়ে বেড়ান তিনি। সেদিনের অনুষ্ঠানে ১ হাজার ৩০০ শ্রোতা বক্ততা শোনেন। তো কে সেই আসিফ জানা যাক।

 

শীতলক্ষ্যার জল জানে সে পরিচয়
নারায়ণগঞ্জের বসবাস আসিফের। বেড়ে ওঠা সেখানেই। শীতলক্ষ্যার কোলে। বাবার সুবাদে থাকতেন ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির আবাসিক এলাকায়। চারিদিকে ছায়াঘেরা ভবন, কৃষ্ণচূড়া গাছ, খাড়ির মতো জায়গায় পাটের নৌকা, পাশে কুলকুলু বয়ে চলা শীতলক্ষ্যা, স্টীমারের ভেঁপু, আর উল্টোদিকে জুট কোম্পানিগুলো নিরন্তর কোলাহল। সব মিলিয়ে এক মায়াময় পরিবেশ। আসিফ বলেন বাসা থেকে কয়েক কদম হাটলে নদী, শীতলক্ষ্যা। নদীর পাড়ে দাড়িয়ে প্রায় ভাবতাম আরেকটু এগোলেই সু বিসতৃত মেঘনা। মেঘনার পরেই বঙ্গোপসাগর। আর বঙ্গপোসাগরের পর ভারত মহাসাগর — – –। এভাবে দূর দিগন্ত আসিফকে ডাকতো। আর এ ডাকে সাড়া দিয়ে আসিফ চলে যান ২ হাজার ৬০০ বছর আগের আয়োনীয় সভ্যতায়- ঈজিয়ান সাগরের উপকুল। কেননা সেখানে পদ্ধতিগত বিজ্ঞানের প্রথম সংগ্রাম শুরু হয়। থেলিস, পিথাগোরাস, ডেমোক্রিটাস, অ্যানাক্সোগোরাস থিওডোরাসের মতো বিজ্ঞানীদের হাতে। তাদের সেই জ্ঞানের সংগ্রাম আসিফকে ভাবায় আর পথ চলার অনুপ্রেরণা যোগায়।

আর এগুলো ভাবতেই অনুপ্রেরণা জাগিয়েছিল মার্ক টোয়েনের টম সয়্যার, হাকল বেরি ফিন, রবাট লই স্টিভেনসনের ট্রেজার আইল্যান্ড, আলেক্সান্ডার বেলায়েভের উভচর মানুষ, আবু কায়সারের রায়হানের রাজহাস, আলী ইমামের তিতির মুখী চৈতা শাহরিয়ার কবিরের নুলিয়া ছড়ির সোনার পাহাড়, ভিক্টর হুগোর লা-মিজারেবল।

সোমবারগুলো ছিল উত্তেজনার
১৯৮৮ সালের কথা। আসিফরা কয়েক খ্যাপাটে বন্ধু ছিলেন। তারা প্রত্যেক সোমবার জ্যামিতি ও তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে বসতো। এর নানা সমস্যা বের করা ও সমাধানের চেষ্টার মধ্যদিয়ে দিনটি কাটানো আনন্দবোধ করতো। এভাবে তারা মানডে গ্রুপ নামে পরিচিত হয়। আলোচনায় কোনো কিছুকে জটিল বা অসামঞ্জস্য সৃষ্টি হলে তার বিহীত না হওয়া পর্যন্ত তাদের শান্তি মিলতো না। এভাবে কয়েক বছর কেটে গেলো। বন্ধুদের কারো কারো উৎসাহে ভাটা এলো। সরে গেলেন বাস্তব জীবনের জটিলতায়। কিন্তু আসিফ ততদিনে বুঝে গেছেন বৈষয়িক জীবনের ধরাবাধা পথ তার নয়। তার চাই অন্য কিছু। আর এ অন্য কিছু করার তাগিদে জ্ঞানের চর্চাকে ছড়িয়ে দিতে গড়ে তুললেন ডিসকাশন প্রজেক্ট।
১৯৯২ সালের মে মাসে ডিসকাশন প্রজেক্ট এর যাত্রা শুরু হয়। মহাবিশ্ব সৃষ্টি থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনা, জ্যামিতিশাস্ত্র, পদার্থবিদ্যা, বহির্জাগতিক প্রাণ ইত্যাদি নানা বিষয়ক জ্ঞানের চর্চা ও তা সাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দেয়াই ডিসকাশন প্রজেক্ট এর উদ্দেশ্য।

টাকা আনা পাই
অন্য আট/দশটা সংগঠনের মতো নয় ডিসকাশন প্রজেক্ট। দর্শনীর বিনিময়ে বিজ্ঞান বক্তৃতার আয়োজন করাই এর কাজ। কিন্তু কেনই বা প্রয়োজন হয়ে পড়লো দর্শনীর বিনিময়ে বিজ্ঞান বক্ততার। এ ব্যাপারে আসিফ জানান দুটি কারণ, প্রথমত আর্থিক ইনভল্বমেন্ট না থাকলে অংশগ্রহনকারীরা সিরিয়াস হয় না। পাশাপাশি অনুষ্ঠানের খরচও কিছুটা উঠে আসা দরকার। পেশাদারী মনোভাব না নিয়ে করলে যদি অবসর সময়ের কাজ হয়ে দাঁড়ায় তবে এর গুরুত্বও কমে যায়। আর যেকোনো কাজের অসি-ত্বের পাশাপাশি অবস্থান করে তার অর্থনৈতিক স্বীকৃতি।

প্রথম আয় প্রথম অনুভূতি
আসিফ যতোটা ভেবেছিলেন যে বক্তৃতা দিয়ে টাকা নেবেন, বাস-বে ব্যাপারটি ততোটা সহজ ছিল না। কাজে নেমেই তা বুঝতে পারলেন। ১৯৯২ সালের ১৯ মে মাত্র দুজন অংশগ্রহনকারী নিয়ে দর্শনীর বিনিময়ে বক্তৃতা অনুষ্ঠান শুরু করেন ইউক্লিডীয় জ্যামিতির ত্রুটি নিয়ে। এর থেকে উপার্জিত ৫০ থাকা অন্যরকম অনুভূতি দেয় আসিফকে। তিনি রাস্তায় হাটেন। শীতলক্ষ্যার পাড়ে গিয়ে বসেন। ৪র্থ শতাব্দী ঢেউ খেলে যায় শীতলক্ষ্যার জলে। সে সময়ে হাইপেশিয়া আলেক্সান্দ্রিয়া গ্রন্থাগারে দর্শনীর বিনিময়ে বক্তৃতা দিতেন। তারও আগে বক্তৃতা দিতেন গ্রীসের সফিস্টরা। শুরুর অর্ধবছরে আসিফ মোট ৩৯ টি বক্তৃতা দেন। সাকুল্যে আয় ১৪০৫ টাকা। যদিও টাকার অংকে তা কিছুই নয়। চেয়েছি দর্শক শ্রোতাদের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটিয়ে বর্তমান সমাজকে একটু ধাক্কা দিতে। আসিফ এগুলো জানান আয়ের প্রসঙ্গে।

অ্যা জার্নি উইথ নলেজ
আসিফের কার্যক্রম শুরুর দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরে থাকলেও পরে তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। নারায়ণগঞ্জের বাইরে ঢাকায় প্রথম স্মরণীয় অনুষ্ঠান হয় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে। দ্বিতীয় পৃথিবীর সন্ধানে শিরোনামে একটি বক্তৃতায় ১৫০ জন দর্শক শ্রোতা ৫০ টাকা টিকিট কেটে বক্তৃতা শোনেন। বহুলোক জায়গা না পেয়ে ফিরে যান। ঢাকা ছাড়াও আসিফ দেশের অনেক জায়গায় গেছেন বিজ্ঞান বক্তৃতা দিতে। সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, সিলেট, শ্রীমঙ্গলসহ বিভিন্ন জায়গায়। এ পর্যন- সারাদেশে ৪০টি ওপেন ডিসকাশনসহ ২২৫টি বিজ্ঞান বক্তৃতা দিয়েছেন। বক্তৃতার বিষয় ছিল, কসমিক ক্যালেন্ডার, দ্বিতীয় পৃথিবীর সন্ধানে, ভূ-তাত্ত্বিক কালপঞ্জি, সময়ের প্রহেলিকা, নক্ষত্রের জন্ম-মৃত্যুর উপখ্যান, জীবনের উৎপত্তি, প্রকৃতির বলসমূহ ছাড়াও জ্যামিতির নানা বিষয়ে। একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক সভ্যতা গড়ে তোলার মানসে আসিফ বিজ্ঞানের আলোক বর্তিকা হাতে নিয়ে হেঁটেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সন্দ্বীপের মতো ঝঞ্চাবিক্ষুদ্ধ জনপদে যেখানকার বিদ্যুতের মতো আবশ্যিক জিনিষের সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। সেখানেও গিয়েছেন মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের জিনিষ নিয়ে পরপর দুবার অনুষ্ঠান করে এসেছেন জেনারেটরের সাহায্য নিয়ে। সেখানকার তরুণেরা একটা বিজ্ঞান গ্রন্থাগার গড়ে তুলেছেন। সেখানকার মানুষকে বিজ্ঞান সচেতন করেছে ডিসকাশন প্রজেক্ট এর সন্দ্বীপ শাখার এই গ্রন’গার।

আলেক্সান্দ্রিয়ার স্বপ্ন বয়ে বেড়ানো পথিক
স্বপ্নবান মানুষ আসিফ। স্বপ্ন দেখেন দেশে বিজ্ঞানের চমৎকার একটি আবহ গড়ে উঠেছে। বিজ্ঞান নিয়ে অহেতুক দ্বিধা-দ্বন্ড থাকবে না কারো মনে। এই প্রত্যাশায় আসিফ বয়ে বেড়াচ্ছেন আলেক্সান্দ্রিয়ার স্বপ্ন। কেননা এক সময় আলেক্সান্দ্রিয়া ছিল পৃথিবীর জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রাণকেন্দ্র। আর এ শহরের গ্রন’গারিটিকে বলা হতো পৃথিবীর মসি-স্ক ও হৃদয় উভয়ই। এখানে ছিল হাতে লেখা পাচ লক্ষ বইয়ের বিশাল সমারোহ। আসিফ আলেক্সান্দ্রিয়ার এই স্বপ্ন বয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের সঙ্গে তখনকার অর্জিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিচ্ছিন্নতা ধ্বংস করে দেয় এসব অর্জন। সেই শঙ্কা বর্তমান পৃথিবীতেও বিরাজমান। সেইজন্যও তিনি যেখানেই যাচ্ছেন সেখানকার তরুণদের মনে এই বারতা দিয়ে আসছেন, বিজ্ঞান হচ্ছে সবচেয়ে বড়ো মানবিক বোধ। বিজ্ঞান ও শিল্পকলার সমন্বয়েই গড়ে ওঠে মহত্তম সংস্কৃতি যা শুধু পাঠ্য বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এই জন্য ছুটে চলা। তিনি নিজেও একটি বিজ্ঞানের সগ্রহশালা গড়ে তুলেছেন। প্রায় ৬ হাজার বইয়ের একটি সংগ্রহ তার আছে। তাছাড়া দূর্লভ বইয়ের কিছু বইও আসিফের সংগ্রহ শালায় আছে: পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, জীববিজ্ঞান, সাহিত্যের উপর।

সুন্দরের মন খারাপ, মাধুর্যের জ্বর
যে কোনো কাজের জন্য চাই অর্থ। চাই স্পন্সর। স্পন্সর ছাড়া কোনো অনুষ্ঠান নামানোর যে ঝক্কি, তা তিনি হাড়ে হাড়ে জানেন। স্পন্সরের অভাবে আসিফের অনেক পরিকল্পনা আতুর ঘরেই পড়ে আছে। একবারের ঘটনা অনেক চেষ্টা করেও সেবার অনুষ্ঠানের কোনো স্পন্সর জোগাড় হয় নি। একটা বাড়তি সাউন্ড বক্সের দরকার হয়ে পড়লো। কিন’ টাকা পাওয়া যায় কোথায়। টিকিট বিক্রি হয়েছে আশাতীত। ফলে টিকিট বিক্রির টাকা নিয়ে ছুটলেন একজন সাউন্ড বক্সের খোজে। এরকম হাজারো ঝামেলা সত্ত্বেও আসিফ ছুটে চলেছেন। কেননা জ্ঞানই আমাদের গন-ব্য বলে মনে করেন আসিফ। যদিও বাংলাদেশে কনসার্ট কিংবা খেলাধুলায় বিস্তর স্পন্সর মেলে। কিন্তু বিজ্ঞানের অনুষ্ঠান বা বক্তৃতার স্পন্সরের জন্য হয়রানি হতে হয়।
তার এক যুগেরও অধিককাল কাজের সঙ্গী যিনি ডিসকাশন প্রজেক্টকে পরিচালনা করেন সেই খালেদা ইয়াসমিন ইতি বলেন আমাদের বর্তমান সামাজিক অবক্ষয় হয়তো আমাদের অমনিশার দিকে ধাবিত করছে। কিন্তু আসিফ -এর জ্ঞান বিতরণ ও বিজ্ঞান প্রসারের এই নব উত্তোরণের ধারা নতুন আলোর পথ দেখাবে। আজ থেকে ১৩ বছর আগে যখন দর্শনীর বিনিময়ে বিজ্ঞান বক্ততার কথা বলতাম তখন মানুষ অবিশ্বাসে তাকাতো। আজ মানুষ লাইন ধরে জনপ্রিয় কোনো নাটক বা সিনেমা দেখার মতোই আসিফের বিজ্ঞান বক্তৃতার শোনার জন্যও লাইন দেয়।

দূরে জাগো স্বাতী তারা
ডিসকাশন প্রজেক্ট এ বছরে ১৩-তে পড়েছে। কালের হিসেবে এ সময়টা তেমন কিছু নয়। এই তের বছরে ডিসকাশন প্রজেক্ট এর কর্মীরা নিজেদের যেমন পরিচিত করেছে, তেমনি এক সাংগঠনিক ভিত্তির উপর দাড় করিয়েছে। তবে আসিফের লক্ষ্য অন্যত্র। আসিফ চান মুক্ত চিন্তার স্ফুরণ ঘটুক দেশ জুড়ে। সবাই প্রশ্ন করতে শিখুক। মানব প্রজাতির উদ্ভব কিভাবে কিংবা আমরা কোথা থেকে এসেছি। আমাদের গন্তব্যই বা কোথায়। মহাবিশ্বের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আমাদের যে অবস’ান তাও জানুক জ্ঞানের মাধ্যমে। জেগে উঠুক স্বাতী তারা।

আসিফের যাত্রা
দূরহ এক পথে নেমেছেন আসিফ। যেতে চান অনেক দূরে। বুকে আয়োনীয় আবেগ আর আলেক্সান্দ্রিয়ার স্বপ্ন। আসিফের সে স্বপ্নযাত্রার সঙ্গী খালেদা ই‌য়াসমিন ইতি, ফরহাদ আহমেদ জেনিথ, বিপ্লব বণিক, তপন কুমার বণিক, শিরিন সুলতানা অনু, আনোয়ারুল ইসলাম মিটুল, শামসুদ্দিন আহমেদ মিট মিট করে সে আলো বয়ে নিয়ে চলেছে শীত লক্ষ্যার জল সারা বাংলাদেশে। তার পথকে মসৃন করার জন্য যোগাযোগ: ১২ আল্লামা ইকবাল রোড, ৭৬৩১৯৮৬, ০১৭১৯৮৭৬৯৮, ০১৭৫০২৭৬৫৫, ই-মেইল: disproject@ agnionline.com।

উপসংহারের বদলে
গল্পটি ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডের। ফ্যারাডে সবেমাত্র বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় আবেশ আবিষ্কার করেছেন। এ নিয়ে জনমনেও এক ধরনের আগ্রহ লক্ষ্য করা গেলো। রানী ভিক্টোরিয়াও সেই আগ্রহে জিজ্ঞেস করলেন এর ব্যবহার কি? ফ্যারাডে উত্তর দিলেন সদ্যজাত শিশুর ব্যবহার কী? আজ ১৬০ বছর পর এই প্রশ্ন কেউ করলে সকলে হাসবে। বিদ্যুৎ ছাড়া আমরা এক মিনিটও কল্পনা করতে পারি না। আমাদের প্রত্যাশা আসিফও বিজ্ঞান চর্চার প্রসার ও জ্ঞানের দিগন্ত বিস্তারে একটা মাইল ফলক স্থাপন করুক। শতবর্ষ পরে দেশের বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে আসিফ ও ডিসকাশন প্রজেক্ট এর নাম সর্বাগ্রে উঠে আসুক।

লেখক: পান্থ রহমান রেজা