কসমিট : সন্দ্বীপে আসিফের ‘মহাজাগতিক’ বক্তৃতা
|
২৮ বৈশাখ ১৪২২ |
Monday, May 11, 2015
জীবনানন্দ দাশের ভাষায় বলতে হয়, সেখান সারা রাত “নক্ষত্রের আলো পড়ে ঝ’রে/সমুদ্রের হাওয়া ভেসে আসে/গান গায় সিন্ধু তার জলের উল্লাসে”। সন্দ্বীপ যেন জীবনানন্দের এই কল্পনারই বাস্তবচিত্র। সেই সন্দ্বীপে ‘দ্বিতীয় পৃথিবীর সন্ধান’ করেছেন ‘এক মহাজাগতিক পথিক’ আসিফ। দেশের একমাত্র পেশাদার এই বিজ্ঞানবক্তা সেখানে মহাজাগতিক যোগাযোগ বিষয়ে তার চিন্তা ও দর্শন ভাগাভাগি করেন বিজ্ঞানমনস্কদের সঙ্গে।
গত ১০ মে, ২০১৫ তারিখ শনিবার বিকেল ৩টায় সন্দ্বীপের উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আমন্ত্রিত দর্শক-শ্রোতাদের সামনে ‘মুক্ত আলোচনা করেন বিজ্ঞানচিন্তক আসিফ।’ আলোচনার বিষয়বস্তু মহাজাগতিক যোগাযোগ। ইংরেজি কসমিক মিটিং থেকে অনুষ্ঠানটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘কসমিট’, বাংলায় বলা যেতে পারে ‘মহাযোগ’।” বিজ্ঞান বিষয়ক সংগঠন ডিসকাশন প্রজেক্টের এটি ছিল ৬৩তম ওপেন ডিসকাশন (মুক্ত আলোচনা)। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে সন্দ্বীপের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংগঠন ‘শঙ্খচিল আড্ডা’।
আসিফ বলেন, “আদিকাল থেকেই মহাকাশের মাঝে ‘কাউকে’ খুঁজে ফিরছে মানবমন। কিন্তু কেন? মহাজাগতিক নিঃসঙ্গতা ঘুঁচাতে নাকি সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার জন্য নিরাপদে ‘ভিনবাড়ি’তে পাড়ি জমাতে? এসব নিয়েই আমার এবারের আলোচনা কসমিট।”
প্রসঙ্গত, জীবন্ত কিংবদন্তি স্টিফেন হকিং সম্প্রতি সতর্কবার্তা দিয়েছেন-পৃথিবী ছেড়ে মহাকাশে পাড়ি না জমালে চির নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মানবজাতি। স্টিফেন হকিং বলেছেন, ‘মানবজাতির ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমাদের উচিত মহাশূন্যে যাত্রা করা।’ আসিফ বলেন, ‘পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে-শুধু এ কারণেই নয়, মানুষ আসলে চায় অচেনা পথে হাঁটতে, অজানাকে জানতে। এজন্যই বহির্জাগতিক বুদ্ধিমত্তার খোঁজ করছে সে।’
চলতি বছরকে আন্তর্জাতিক আলোক বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ। তাই কসমিট বক্তৃতায় আলো নিয়েও আলোকপাত করেন আসিফ। সন্দ্বীপে ডিসকাশন প্রজেক্টের প্রথম বক্তৃতা হয়েছিল ২০০৩ সালে। সে বছর ৩১ ডিসেম্বর আব্দুল হাকিম মিলনায়তনে ‘দ্বিতীয় পৃথিবীর সন্ধানে’ শীর্ষক বক্তৃতা করেছিলেন আসিফ।