পরিচিতি
| ২৫ শ্রাবণ ১৪২২ | Sunday, August 9, 2015বিজ্ঞানচর্চা ও তা প্রসারে নিবেদিত আসিফ ডিসকাশন প্রজেক্টের বক্তৃতার মাধ্যমে প্রথম সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কসমিক ক্যালেণ্ডার, সময়ের প্রহেলিকা, নক্ষত্রের জন্ম-মৃত্যু, প্রাণের উৎপত্তি ও বিবর্তন, আন্তঃনাক্ষত্রিক সভ্যতা বিষয়ক জটিল বিষয়ে দর্শনীর বিনিময়ে বক্তৃতার আয়োজনের মধ্যে আছে অভিনবত্ব ও কল্পনার দুঃসাহস। তিনি এরকম ৪৮টি ওপেন ডিসকাশন বা বক্তৃতা অনুষ্ঠানের সফল উদ্যোক্তা। আসিফ এর নিজস্ব গ্রন্থাগারে রয়েছে পাঁচ হাজার বইয়ের এক সংগ্রহ। পাশাপাশি বিজ্ঞান ও সভ্যতা ভিত্তিক প্রচুর ম্যাপ, চার্ট ও ডকুমেন্টারী ফিল্মের ভিডিও ক্যাসেট। শৈশব থেকেই তিনি এ সমাজ ও সভ্যতা নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন ভিন্নভাবে। পদার্থবিজ্ঞান, গণিতশাস্ত্র, জীববিজ্ঞান, দর্শন, সংগীত ও সাহিত্যের উপর পড়াশুনা করেছেন ধারাবাহিকভাবে। এর মধ্যে জ্যামিতি, কোয়ান্টাম বলবিদ্যা ও আপেক্ষিকতত্ত্বের আধুনিক সমস্যাগুলো ছাড়াও সভ্যতার গতি-প্রকৃতি নিয়ে চিন্তা ভাবনা ও গবেষণা তার অন্যতম বিষয়। আসিফ ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বই প্রাকাশিত। তারমধ্যে সাহিত্য প্রকাশ-২০০১ থেকে লেখা কার্ল সাগান: এক মহাজাগতিক পথিক, সময় প্রকাশন-২০০৩ থেকে মহাজাগিতক আলোয় ফিরে দেখা, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র থেকে ইউক্লিড ও তার এলিমেন্টস এবং খালেদা ইয়াসমিন ইতির সঙ্গে মহাবিশ্ব ও নক্ষত্রের জন্মমৃত্যু মোট ৪টি বই প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা একাডেমী জর্নালে আড়াই হাজার বছর আগের গ্রন্থ ইউক্লিডের অ্যালিমেন্টস এর প্রথম খন্ড এবং তার বিশ্লেষণ বের হয়েছে। তিনি তার শৈশবের দিনগুলো সম্পর্কে বলেন, জীবনের এই স্বপ্নময় সময়ে কখনও অভিভূত হয়েছি রাশিয়ান লেখকদের সংকলন গ্রহান্তরের আগন্তুক, কখনো বাংলার লেখকদের রায়হানের রাজহাস বা নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়, কখনো বা তিতিরমূখী চৈতা পড়ে। আলেক্সান্দার বেলায়েভের উভচর মানুষ অথবা মার্ক টোয়েনের হাকলবেরী ফিন বা টম সয়্যার আমাকে দেখিয়েছে জীবন কত সুন্দর। ভিক্টরহুগোর লা-মিজারেবলের মতো গ্রন্থ দেখিয়েছে জীবনের বাঁক কত আকস্মিকভাবে পরিবর্তীতে হয়ে যেতে পারে। আর পরিকল্পনা করেছি ইভান ইয়েফ্রেমভ আর আর্থার সি ক্লার্কের রচনাকে সামনে রেখে। এগুলো আমাকে গতি দিয়েছে, চলার পথে আনন্দ দিয়েছে জীবনানন্দ ও কার্ল সাগানের ভাষা। তারা আমাকে শিখিয়েছে দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে এই পৃথিবীর যে কোন অঞ্চলই মহাজাগতিক সাগরের বেলাভূমি।