ওরা কেন অাসেনি: ৬৫তম ওপেন ডিসকাশন
|
২৩ ভাদ্র ১৪২৩ |
Wednesday, September 7, 2016
আর্থার. সি. ক্লার্ক তার স্পেস অডেসিতে বলেছেন, ‘জ্ঞান তাদের ক্ষমতাবান করলো। শতাব্দীর সিঁড়ি বেয়ে একদিন তারা উঠে গেল চরম উৎকর্ষে। নক্ষত্র থেকে নক্ষত্রে ছুটে বেড়ালো।’ তাহলে নক্ষত্রসভ্যতা আসেনি কেন এই শ্যামল পৃথিবীতে? পৃথিবীতে যুদ্ধ-বিগ্রহ, গৃহযুদ্ধ, সর্বব্যাপী বিনাশের ঝড় বইতে শুরু করলে নাকি খণ্ডযুদ্ধ ও প্রাণনাশকারী অপরাধবৃত্তি কমে আসে; এই ভ্রাতৃঘাতী, সন্তানঘাতী, পিতৃঘাতী সংহার কিংবা আসুরিক যুদ্ধবৃত্তির দিকে তাকিয়ে অধিকাংশ বিজ্ঞানী বলেছেন, আত্মসংহার বুদ্ধিমান প্রাণীদের অন্তর্গত এক প্রক্রিয়া। একে কি সম্পূণ রোধ করা সম্ভব?
সত্যিই যদি ড্রেক সমীকরণের মাধ্যমে পাওয়া ভিন্ন নক্ষত্রের গ্রহগুলোতে এক কোটি উন্নত সভ্যতা টিকে থাকে, তাহলে তারাও কি মানবজাতির এই ধরনের প্রাযুক্তিক সীমাবদ্ধতার শিকার হবে? নিউক্লিয়ার ও পরিবেশ দূষণের মতো ভয়াবহ আত্মধ্বংসের প্রবণতা কাটিয়ে উঠতে পারবে? যদি পারে তাহলে তারা আসেনি কেন পৃথিবীর এই খেলাঘরে?
১০ লক্ষ বছরের এগিয়ে থাকা সভ্যতা বলতে আসলে কী বোঝায়? আন্তঃনাক্ষত্রিক অভিযানে কি তারা আগ্রহী হবে? অথবা তাদের উপস্থিতি কি আমরা অনুধাবন করতে পারবো? সভ্যতার পরিমাপক কার্ডাশেভ স্কেলে পৃথিবীর অবস্থান কোথায়?
জীবাশ্ম-জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) পৃথিবীর অর্থনীতিকে ক্ষমতাবান করেছিল। আবার মানবজাতিকে যুদ্ধ ও দূষণের মতো এক বিপর্যয়কর পরিণতির দিকে নিয়ে গেছে। বর্তমানে সূর্যের অফুরন্ত ক্ষমতাকে ব্যবহারের মাধ্যমে এই বিপর্যয়কে রোধ করা সম্ভব বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। আমরা কি আত্মধ্বংসের প্রবণতামুক্ত টাইপ ওয়ান সভ্যতায় পৌঁছোতে পারবো? একদিকে আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। কিন্তু তার পিছনে যে বৈজ্ঞানিক দর্শন বা দৃষ্টিভঙ্গি আছে তা জানছি না। পুরনো ধারণাগুলোকে আকড়ে ধরে আছি। সৃষ্টি হচ্ছে সাংস্কৃতিক সংকট। এটাই কি প্রাযুক্তিক বয়ঃসন্ধিকাল? এর পিছনে কি মস্তিষ্ক বিবর্তনের অসংগতি কাজ করছে? বলা হচ্ছে, এটাই মানবজাতির সামনে সবচয়ে বড়ো বিপদ। তাহলে?
ফ্রিম্যান ডাইসন, কার্ল সাগান, মার্টিন রিজ, ফ্রাঙ্ক ড্রেক, হারম্যান শিয়ারের গবেষণা অবলম্বনে মহাজাগতিক সভ্যতা ঘিরে কৌতুহলী এমন সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ডিসকাশন প্রজেক্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে ৬৫তম ওপেন ডিসকাশন “ওরা কেন আসেনি”। সাথে থাকছে প্রয়োজনীয় অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা।
বিজ্ঞান বক্তৃতাটি অনুষ্ঠিত হয় ০১ অক্টোবর ২০১৬, শুক্রবার বিকাল ৫.৩০ মিনিটে ঢাকাস্থ বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে।