পেশাদার বিজ্ঞান বক্তা আসিফ বলেছেন, প্রাযুক্তিক উন্নতি সত্ত্বেও মানব সভ্যতা মহাকাশ থেকে গ্রহাণু পতনে হুমকির সম্মুখীন। মানুষের পাঁচটি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। শুধু টিকে আছে হোমো সেপিয়্যান্স নামে বর্তমান মানব প্রজাতি। তারাও নানা অজুহাতে নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ-বিবাদে লিপ্ত। গ্রহাণুর হুমকি মোকাবেলা করতে হলে মানব প্রজাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জ্ঞানচর্চা করতে হবে, প্রযুক্তির আরও উন্নতি ঘটাতে হবে।
বিশ্ব গ্রহাণু দিবস উপলক্ষে ঢাকার আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান বক্তৃতায় আসিফ এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ ও বিজ্ঞান সংস্থা ডিসকাশন প্রজেক্টের উদ্যোগে এ বিজ্ঞান বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্রের কর্মকর্তা ফাহমিদা সুলতানা, ডিসকাশন প্রজেক্টের অন্যতম সমন্বয়ক খালেদা ইয়াসমিন ইতি। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে আরও ছিল গ্রহাণুবিষয়ক ডকুমেন্টারি, বিজ্ঞানবিষয়ক বই-পত্রিকা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
গ্রহাণু বা অ্যাস্টরয়েড মূলত পাথরের খণ্ড, যা মহাকাশে সূর্য বা অন্য কোনো নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। আমাদের সৌরজগতের বেশিরভাগ গ্রহাণুই সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণরত অবস্থায় মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মধ্যে প্রধান গ্রহাণু বেষ্টনীতে পাওয়া যায়, যা মূলত ৪৬০ কোটি বছর আগে আমাদের সৌরজগতের প্রাথমিক গঠনের পরে পাথরের অবশিষ্টাংশ।
অনুষ্ঠানে আসিফ জানান, সাম্প্রতিক ইতিহাসে গ্রহাণু পতনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে ১৯০৮ সালের ৩০ জুন সাইবেরিয়ার তুঙ্গাসকায়। গ্রহাণু সম্পর্কে সাধারণ মানুষের জানা ও এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্য নিয়ে বিজ্ঞানীদের উদ্যোগে ২০১৫ সালের ৩০ জুন প্রথমবারের মতো পালন করা হয় আন্তর্জাতিক গ্রহাণু দিবস। পরে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ সভায় প্রতিবছর ৩০ জুন আন্তর্জাতিক গ্রহাণু দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আসিফ বলেন, প্রতিদিন মহাকাশের ছোট ছোট অনেক ঘটনার প্রভাব পৃথিবীতে ঘটছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, পৃথিবীতে আরও বড় আকারের এ রকম মহাজাগতিক ঘটনা ঘটতে পারে।
ডিসকাশন প্রজেক্ট, ইমেইল: [email protected], ফোন: ০১৭১১৯৮৭৬৯৮, ০১৯১২৯১৭৫৫৪
© 2024 ডিসকাশন প্রজেক্ট, All rights reserved.
8Total visits: 679693.