ওয়াইডাব্লিউসিএ জুনিয়র হাই স্কুলে আসিফের বিজ্ঞান বক্তৃতা
|
১৪ বৈশাখ ১৪২৪ |
Thursday, April 27, 2017
মহাবিশ্বে উপর বা নিচ বলে কিছু আছে কি? পৃথিবী বা গ্রহপৃষ্ঠে আটকে থাকার কারণ কি মহাকর্ষ বা মাধ্যাকর্ষণ শক্তি? টেলিস্কোপের মধ্যে দিয়ে মহাবিশ্বের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত দেখা সম্ভব হলে কি আমরা আমাদের মাথার পিছনের চুলকেই দেখতে পাব? কিভাবে বিজ্ঞানের মহৎ অগ্রগতির সঙ্গে আমরা যুক্ত হতে পারি? মহাকাশ বিজ্ঞানী হতে হলে কি প্রস্তুতি প্রয়োজন? ডাইনোসররা কেনইবা বিলুপ্ত হয়েছে? শিক্ষার্থীদের এমন অসংখ্য প্রশ্নের মধ্য দিয়ে ওয়াইডাব্লিউসিএ জুনিয়র হাইস্কুলের বিজ্ঞান বক্তৃতা একটা প্রাণবন্ত রূপ পায়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ওই হাইস্কুলের দিবা শাখায় ‘আকাশ ও মহাকাশ এবং মহাবিশ্বে আমরা’ শীর্ষক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তৃতা দেন বিজ্ঞান বক্তা আসিফ। এই অনুষ্ঠানে সপ্তম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩০০শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। তাদের সঙ্গে শিক্ষক শিক্ষিকারাও উপস্থিত ছিলেন।
ওয়াইডাব্লিউসিএ জুনিয়র হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন ডিনা রায় ডিসকাশন প্রজেক্ট-এর কর্মীদের পরিচয় করিয়ে দেন। পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধান করেন ওয়াইডাব্লিউসিএ জুনিয়র হাই স্কুলের বিজ্ঞান ক্লাব উন্মেষ-এর মোডারেটর তামান্না আহমেদ। ডিসকাশন প্রজেক্ট থেকে বিজ্ঞান কর্মী যোয়েল কর্মকার ও অনিক আজাদ অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় সর্বোতভাবে সহায়তা করেন।
আসিফ প্রথমে সৌরজগতের ধারণা দিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন। বিজ্ঞানের প্রতিটি পদক্ষেপের উত্তরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কষ্টকর করুণ গাঁথা। বিজ্ঞানের প্রতিটি পদক্ষেপই হচ্ছে মানুষের নিজেকে উন্মোচন করা। তিনি কেপলার ও ব্রুনোর সেই কাহিনীগুলো তুলে ধরে বলেন, কিভাবে বস্তুজগতের ঘটনাবলীগুলো বিজ্ঞানের তত্ত্ব নির্মাণের সহায়তা করে। এরপর কসমিক ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে দেখান ডাইনোসরেরা টিকে ছিল ১৪ কোটি বছর এবং মানবজাতি বিবর্তনের পথ ধরে পুরো বছরের শেষ দিনে মাত্র মাত্র দেড়ঘন্টা আগে এসেছে। আসিফ বলেন টিকে থাকার জন্য তাই সহনশীলতা ও অন্যের মতামতকে মর্যাদা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানটি শেষ করা হয় মঙ্গলগ্রহকে পৃথিবীর মতো বসবাসযোগ্য করে তোলার ব্যাপারে ১০০০ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তৈরি করা একটি ১০ মিনিটের একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করে। আসিফের বক্তৃতার পর সহকারী প্রধান শিক্ষক জেসমিন ডিনা রায় শিক্ষার্থীদের বলেন বিজ্ঞান ও মানবিক দিকগুলো নিয়ে আমাদের আরও গভীরভাবে ভাবতে হবে।